ফেসবুকে যুক্ত হচ্ছে আরও ৬ বাটন

ব্যবহারকারীদের জন্য ফেসবুকে ৬টি নতুন ইমোজি যুক্ত হতে যাচ্ছে। এর অর্থ হচ্ছে লাইক ছাড়া ব্যবহারকারীরা ফেসবুকে আরও ছয়টি বাটন পাচ্ছেন।

ফেসবুকের ‘লাইক’ বাটনটা অনেকের কাছে একঘেয়ে হয়ে উঠছিল। ব্যবহারকারীদের অভিযোগ, এই বাটনে অনুভূতির প্রকাশ ঠিকমতো হচ্ছে না। ‘ডিজলাইক’ বাটনের জন্য জোর দাবি উঠেছিল। এরপরই ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দেয় রাগ, দুঃখ, উচ্ছ্বাস, ভালোবাসার ছয়টি ইমোজির!

ফেসবুকের ৭টি বাটন (ডানের ৬টি নতুন)

ফেসবুকের ৭টি বাটন (ডানের ৬টি নতুন)

এএফপির খবরে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ফেসবুক জানিয়েছে সারা বিশ্বের ব্যবহারকারীদের জন্যই ইমোজিগুলো উন্মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে। তবে দিনক্ষণ না বললে ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ বলেছেন, শিগগিরই এগুলো সবার ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
এখন ফেসবুকে ব্যবহারকারীরা সব মিলিয়ে ‘লাইক’, ‘লাভ’, ‘হাহা’, ‘ইয়াই’, ‘ওয়াও’, ‘স্যাড’ এবং ‘অ্যাংরি’ বাটন ব্যবহার করতে পারবে, যা একসঙ্গে বলা হচ্ছে ‘ফেসবুক রিয়েকশনস’। কোনো টিউনে এ ধরনের ইমোজি যোগ করতে হলে মোবাইল অ্যাপে টিউনের নিচে নির্দিষ্ট জায়গায় চেপে ধরতে হবে। ওয়েবসাইটে অবশ্য মাউস ওপরে নিয়ে গেলেই (হোভার) ইমোজিগুলো দেখাবে। কোন ইমোজির বোতাম কতবার চাপা হয়েছে, তা প্রতিটি টিউনের নিচে দেখাবে।
মার্ক জাকারবার্গ গতকাল বুধবার বলেছেন, ‘আমরা চাই মানুষ যা পছন্দ করে তার অর্থপূর্ণ সবকিছু যেন তারা শেয়ার করতে পারে।’ ফেসবুক মনে করছে এই পরিবর্তনের ফলে মানুষ তাঁদের অনুভূতি আরও সহজভাবে শেয়ার করতে পারবে।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ চিলি, ফিলিপাইন, পর্তুগাল, আয়ারল্যান্ড, স্পেন, জাপান এবং কলম্বিয়ার ব্যবহারকারীদের ছয়টি ইমোজি পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করতে দিয়েছিল। এখন সারা বিশ্বের ১৬০ কোটি ব্যবহারকারী লাইক ছাড়াও ওই ৬টি ইমোজি ব্যবহার করতে পারবেন।

প্রথম আলো

উইন্ডোজ ফোনের সুবিধা অসুবিধা

আমরা অনেকেই দীর্ঘ সময় ধরে এন্ড্রয়েড ব্যাবহার করছি । এন্ড্রয়েড এর প্রচুর সুবিধা আছে তবে অনেক দিন ব্যাবহার এর ফলে অনেকটা একঘেয়ামি চলে এসেছে । অনেকেই হয়তো টিভিতে অ্যাড দেখে বা বন্ধু-বান্ধবের কাছে শুনে উইন্ডোজ ফোন কেনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন । তাদের জন্যই মুলত আমার এই টিউন । আমি এখানে উইন্ডোজ ফোন এর ভাল খারাপ দিক তুলে ধরবো


প্রথমেই জেনে নেই উইন্ডোজ ফোন এর অনন্য ফিচারগুলো যার কারনে আপনি উইন্ডোজ ফোন কিনবেন

১. কর্টানা – উইন্ডোজ ফোন ৮.১ এ কর্টানা নামক পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট যোগ হয়েছে । যার কাজ আপনার প্রতিদিনের কাজগুলোকে সহজ করে তোলা। এটা এখনও পরীক্ষামূলক পর্যায়ে আছে তবে এখনই এটা আইফোন সিরি বা গুগল নাওকে হার মানায় । ইউটিউবে কর্টানা চ্যালেঞ্জগুলো দেখতে পারেন -https://www.youtube.com/watch?v=-HJodK56EsU


 

২. ক্যামেরা – আমরা সকলেই জানি নোকিয়া ১০২০ ফোনের ক্যামেরার কথা । এখন পর্যন্ত এটাই স্মার্টফোনের সবচেয়ে ভাল ক্যামেরা । এছাড়াও লুমিয়া ৭২০, ৮২০, ৯২০, ৯২৫, ১৫২০ ইত্যাদি ফোনগুলোর ক্যামেরাও যথেষ্ট ভাল মানের । এগুলো সহজেই আইফোন ৫ বা স্যামসাং গালাক্সির মতো ফোনের সাথে কম্পেয়ার করা যায় । এই পেজে ভিডিওগুলো দেখতে পারেন – http://www.windowsphone.com/en-us/cmpn/windows-phone-challenge


 

৩. স্টোর – উইন্ডোজ ফোনের স্টোরে রয়েছে প্রচুর অ্যাপ । যার মাঝ থেকে আপনি খুব সহজেই আপনার পছন্দের অ্যাপ খুঁজে নিতে পারেন । অনেকে বলে উইন্ডোজ স্টোরে যথেষ্ট অ্যাপ নেই কথাটা আসলে সম্পূর্ণ ভুল । আপনার প্রয়োজনীয় অ্যাপ দ্বারা প্রতিনিয়তই উইন্ডোজ অ্যাপ স্টোর সমৃদ্ধ হচ্ছে ।


 

৪. লাইভ টাইলস – এটা উইন্ডোজ ফোনের একটি অনন্য ফিচার যা অন্য কোন ফোনে নেই । এটা দেখতে খুবই চমৎকার এবং এর জন্য ফোন কখনো স্লো হয় না । সব ফিচার গুলো আপনি এই লিঙ্কে দেখতে পারেন –

http://www.windowsphone.com/en-us/features

৫. অফলাইন ম্যাপ – আইফোনের মত উইন্ডোজ ফোনেও রয়েছে অফ্লাইন ম্যাপ । অর্থাৎ আপনি নেট কানেকশন ছাড়াই ম্যাপ ব্যাবহার করতে পারবেন । এটা এন্ড্রয়েড এর বেশিরভাগ ফোনেই অনুপস্থিত


 

৬. বাংলা কীবোর্ড – উইন্ডোজ ফোনের এই বিষয়টি আমার সবচেয়ে ভাল লেগেছে । উইন্ডোজ ফোন ৮.১ এ দেয়া হয়েছে অফিসিয়াল বাংলা কীবোর্ড যা সকল স্মার্টফোনের মাঝে প্রথম । উইন্ডোজ ফোনে তাই পৃথিবীর প্রায় সকল ভাষা উন্মুক্ত

এছাড়াও উইন্ডোজ ফোনকে বলা হয় The World’s Most Personal Smartphone কারন এই ফোনকে আপনি আপনার মনের মত খুব সহজেই সাজিয়ে রাখতে পারবেন ।

এতক্ষন উইন্ডোজ ফোনের ভাল দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করলাম । এবার আসছি উইন্ডোজ ফোনের সমস্যাগুলো নিয়ে

১. ন্যাটিভ 3G ভিডিও কল – উইন্ডোজ ফোনে ডাইরেক্ট থ্রিজি ভিডিও কল নেই এর কারন উন্নত বিশ্ব এই ডায়রেক্ট থ্রিজি ভিডিও কলের যুগ অনেক আগেই পার করে এসেছে । এর মান যেমন খারাপ তেমনি ভিডিও কোয়ালিটিও ভাল নয় এর জন্য উন্নত দেশগুলোতে মানুষ এখন স্কাইপ ব্যাবহার বেশি করে কারন স্কাইপ সাশ্রয়ী এবং মানও যথেষ্ট তাই উইন্ডোজ ফোনে ডাইরেক্ট থ্রিজি ভিডিও কল রাখা হয়নি । তবে আমরা নতুন থ্রিজি ব্যবহার করছি বলে আমাদের এই ব্যাপারে আগ্রহ বেশি তাই ডাইরেক্ট থ্রিজি ভিডিও কল খুব বেশি প্রয়োজন হলে আপনি অবশ্যই উইন্ডোজ ফোন কিনবেন না ।


 

২. ফ্ল্যাশ প্লেয়ার – ফ্ল্যাশ প্লেয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এর দ্বারা আপনি লাইভ টিভি দেখতে পারবেন । তবে ফ্ল্যাশ প্লেয়ার উইন্ডোজ ফোনে নেই । যদিও আপনি বিভিন্ন অ্যাপ এর মাদ্ধ্যমে দেশি ও বিদেশি বিভিন্ন টিভি চ্যানেল দেখতে পারবেন তবে এক্ষেত্রে আপনার মেগাবাইট একটু বেশিই খরচ হবে । তবে ইউটিউব বা অন্যান্য সাইটে ভিডিও দেখতে আপনার কোন সমস্যা হবে না


 

৩. ব্রাউজার – উইন্ডোজ ফোনে আপনি গুগল ক্রোম বা অপেরা মিনি ব্রাউজার পাবেন না তবে অন্যান্য প্রায় সব ব্রাউজারই আপনি পাবেন ।


 

আপাতাত এই তিনটিই মূল ও বড় সমস্যা আমার কাছে মনে হয়েছে । আপনি উইন্ডোজ ফোন কেনার সময় অবশ্যই ভেবেচিন্তে কিনবেন ।


 

আর ছোট্ট একটা টিপস আপনাদের দেই উইন্ডোজ ফোন সেকেন্ডহ্যান্ড কিনতে গেলে অবশ্যই উইন্ডোজ ফোন ৮ সাপোর্টেড ফোন কিনবেন কারন লুমিয়া ৭১০ বা ৫১০ সিরিজের ফোন গুলো আপনি উইন্ডোজ ফোন ৮ বা ৮.১ এ আপগ্রেড করতে পারবেন না । সেক্ষেত্রে আপনার অনেক সমস্যার মুখে পড়তে হতে পারে । আর উইন্ডোজ ফোন কেনার আগে উইন্ডোজ ফোনের অফিসিয়াল সাইট Windowsphone.com থেকে ঘুরে আসুন যেখানে আপনি সহজেই উইন্ডোজ ফোন সম্পর্কে ভাল ধারনা পাবেন ।


 

বিঃ দ্রঃ – কেউ মনে করবেন না আমি এই পোস্টে আন্ড্রয়েডকে খারাপ বলে মন্তব্য করেছি । প্রতিটি অপারেটিং সিস্টেমের নিজস্ব বিশিষ্ট্য আছে । এগুলো একটা আরেকটার সাথে কোন মিল না থাকাই স্বাভাবিক ।